করোনা ভাইরাস অতিমারি যখন সারা বিশ্বের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে নাজেহাল করে তুলেছিল, তখন আশির্বাদ হিসেবে এসেছে ই-কমার্স ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলো। দুঃসময়ে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পণ্য পৌছে দেওয়ায় দেশে এই সেবার জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পায় তড়িৎ গতিতে। কোভিডের শুরুর বছর কেবল ২০২০ সালে অনলাইনে বেচাকেনা বেড়ে যায় প্রায় ৩০০ শতাংশ। ১ লাখ নতুন উদ্যোক্তার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ৫ লাখ কর্মসংস্থান।
কোভিডের আগেও এই খাতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৪০-৪৫ শতাংশ। লেনদেন বৃদ্ধি পেয়ে খাতটির মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। তবে সময় এসেছে নতুন এই খাতটির প্রবৃদ্ধিকে ক্রমবর্ধমান রাখতে, বিশেষ করে, ভ্যাট ও ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়ে ভাবার।
সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তার অধীন এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশব্যাপী ও ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের প্রসারের জন্য নীতি ও কাঠামোগত উন্নয়নে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। এটুআইয়ের পরিচালিত একশপ বিশ্বের প্রথম ইন্ট্রিগেটেড এসিস্টেড গ্রামীণ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এটি গ্রাহকদের বিশ্বস্ত ই-কমার্স, পেমেন্ট ও লজিস্টিক কোম্পানিগুলোকে একটি প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করে জাতীয় পর্যায়ে ই-কমার্স অবকাঠামোর মেরুদণ্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উদ্যোক্তা, উৎপাদক ও ভোক্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এসক্রো পেমেন্ট সিকিউরিটি সিস্টেম বাংলাদেশে চালু করায় একশপ অগ্রদূত। প্রতিষ্ঠানটি এখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একটি সেন্ট্রাল কমপ্লেইন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং সেন্ট্রাল লজিস্টিক ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে সহায়তা করছে। এটি হয়ে গেলে ই-কমার্স ইকোসিস্টেমে আন্তঃপরিচালনা ও জবাবদিহিতা তৈরি এবং সরকারকে খাতটির উন্নয়নে সহায়তা করতে পারবে।