মুকেশ আম্বানি এবং নীতা আম্বানি, তাঁদের কন্যা ঈশা আম্বানি এবং জামাই আনন্দ পিরামলকে শুক্রবার সন্ধ্যায় একসঙ্গে দেখা গেল নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের (এনএমএসি সি) এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন নীতা আম্বানি, তাঁদের কন্যা ঈশা এবং পিরামল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক আনন্দ পিরামল এই বিশেষ ইভেন্টে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের মূল বিষয়
শুক্রবার রাতে এনএমএসি সিসিতে আয়োজিত হয়েছিল ‘ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অফ দ্য ইয়ার’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য ছিল বন্যপ্রাণীদের জীবন এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে উদযাপন করা, এবং সেই উপলক্ষে নানা ক্ষেত্রে বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি ছিল। নীতা এবং ঈশা আম্বানিকে এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে সাজতে দেখা যায়। মা-মেয়ের এই দৃষ্টিনন্দন উপস্থিতি উপস্থিত সকলের মন কাড়ে।
পোশাক ও সাজসজ্জা
অনুষ্ঠানে নীতা আম্বানি পরেছিলেন এক অত্যাধুনিক ডিজাইনার পোশাক, যা তাঁর শৈলীর সঙ্গে মানানসই। পোশাকটি ছিল আধুনিক ও ঐতিহ্যবাহী মিশ্রণ, যেখানে পশ্চিমা ডিজাইনের ছোঁয়া স্পষ্ট ছিল। তাঁর কন্যা ঈশা আম্বানিও এই অনুষ্ঠানে একটি অনন্য ও আভিজাত্যপূর্ণ পোশাকে সেজে উঠেছিলেন। ঈশার পোশাকে আধুনিকতার সঙ্গে ভারতীয় ঐতিহ্যের সমন্বয় স্পষ্ট ছিল, যা তাঁকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
আনন্দ পিরামল ও মুকেশ আম্বানির উপস্থিতি
নীতা এবং ঈশার পাশে ছিলেন তাঁদের স্বামী ও বাবা মুকেশ আম্বানি এবং আনন্দ পিরামল। মুকেশ আম্বানি, যিনি ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি হিসেবে পরিচিত, তাঁকে দেখা যায় অত্যন্ত শালীন ও সুরুচিপূর্ণ পোশাকে। আনন্দ পিরামল, যিনি পিরামল গ্রুপের এক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি, তিনিও একটি ক্লাসিক এবং অফিসিয়াল পোশাকে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আম্বানি পরিবারের সামাজিক দায়িত্ব
নীতা আম্বানি এবং ঈশা আম্বানি শুধুমাত্র তাঁদের শৈলীর জন্য নয়, সামাজিক দায়িত্ববোধের জন্যও বিখ্যাত। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে নীতা আম্বানি স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতির প্রচার করে চলেছেন। এনএমএসি সিসি-তে আয়োজিত এই ধরনের প্রদর্শনীও সেই উদ্দেশ্যেরই একটি উদাহরণ, যা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
এছাড়াও, পড়ুন : নান্দনিক ডিভাইস মার্কেট শেয়ার বিশ্লেষণ এবং রিপোর্ট 2024-2030
উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব
এই বিশেষ প্রদর্শনীতে আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন শিল্পী, ফটোগ্রাফার, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং পরিবেশবিদরা। এই প্রদর্শনীতে বন্যপ্রাণীদের ফটোগ্রাফের মাধ্যমে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে তুলে ধরা হয়েছে এবং সেই ফটোগ্রাফগুলি উপস্থিত দর্শকদের হৃদয়ে বিশেষ ছাপ ফেলেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই নীতা এবং ঈশা আম্বানির সঙ্গে কথোপকথনে মগ্ন ছিলেন এবং তাঁদের শৈলী ও সামাজিক কাজে অবদান সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন।
উৎসাহব্যঞ্জক অনুষ্ঠান
নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের লক্ষ্য ছিল সাংস্কৃতিক এবং পরিবেশগত সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। এই প্রদর্শনী সেই লক্ষ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেখানে প্রকৃতির প্রতি মানুষের দায়িত্ব এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের অনুপ্রাণিত করার পাশাপাশি, এই ধরনের প্রদর্শনী সংস্কৃতি এবং পরিবেশের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ করে দেয়।
নীতা এবং ঈশার মেলবন্ধন
নীতা আম্বানি এবং ঈশা আম্বানির মধ্যে সম্পর্ক কেবল মা-মেয়ের নয়, একজন পথপ্রদর্শক এবং উত্তরসূরীর সম্পর্কও। ঈশা, যিনি বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা এবং দায়িত্ববোধের পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁকে নীতা আম্বানির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে দেখা যায়। এই ধরনের অনুষ্ঠানেও তাঁরা একসঙ্গে অংশ নেন এবং তাঁদের এই মেলবন্ধন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
আম্বানি পরিবারের ভবিষ্যৎ উদ্যোগ
নীতা এবং ঈশা আম্বানির এই ধরনের উদ্যোগ এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের উদাহরণ রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের কাজকর্মের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। তাঁদের নেতৃত্বে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজ চলছে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সংস্কৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প।