আবারও নজর কাড়লেন অশ্বিন: দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে বিপর্যস্ত করলেন ভারতীয় স্পিনার

top news

ভারতের অভিজ্ঞ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন তার বোলিংয়ের জাদুতে আবারও দলকে পথ দেখালেন। পুনেতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে অশ্বিনের বোলিং ছিল অসাধারণ। তার স্পিনে কুপোকাত হয় কিউই ব্যাটসম্যানরা। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট ছিল নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেভন কনওয়ের, যাকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন অশ্বিন। (এএফপি)

প্রথম দিন: অশ্বিনের বোলিং জাদু

পুনেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের জন্য প্রথম দিনটি ছিল দারুণ। কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপকে ধ্বংস করে দেন ভারতীয় স্পিনাররা, বিশেষ করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিন ২২ ওভারে মাত্র ৬৩ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। ডেভন কনওয়ে, ড্যারিল মিচেল এবং টম ব্লান্ডেল সহ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তিনি।

কনওয়ের উইকেট: ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট

ডেভন কনওয়ে, যিনি নিউজিল্যান্ডের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান, তার উইকেট তুলে নিয়ে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি ফেরান অশ্বিন। কনওয়ে ইনিংসটি শুরু থেকে স্থিরভাবে গড়ে তুলছিলেন এবং বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অশ্বিনের দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন তিনি। কনওয়ের বিদায়ের পর থেকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ দ্রুত ভেঙে পড়তে থাকে।

অশ্বিনের সঙ্গে অন্যান্যদের ভূমিকা

অশ্বিনের পাশাপাশি, ভারতের অন্য স্পিনাররাও ভালো বোলিং করেন। রবীন্দ্র জাদেজা ৩ উইকেট নেন, যেখানে মোহাম্মদ সিরাজ এবং উমেশ যাদব পেস আক্রমণে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। সিরাজ তার সুইং এবং গতি দিয়ে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে সফল হন। অন্যদিকে, উমেশ তার অভিজ্ঞতা দিয়ে কিউইদের ভুল করতে বাধ্য করেন।

নিউজিল্যান্ডের সংগ্রাম: ব্যাটিং বিপর্যয়

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে বড় ধাক্কা আসে প্রথম সেশনের মধ্যেই। প্রথম উইকেট পড়ে মাত্র ২৮ রানে, এবং সেখান থেকে কিউইদের ইনিংস আর কখনোই পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অশ্বিন এবং জাদেজার নিখুঁত স্পিনের সামনে কিউই ব্যাটসম্যানদের ধৈর্য হারাতে দেখা যায়। কনওয়ের আউট হওয়ার পর মিডল অর্ডার দ্রুত ভেঙে পড়ে। ড্যারিল মিচেল ৩১ রানের ছোট ইনিংস খেললেও, দলের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।

ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স

ভারতের বোলাররা প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। অশ্বিনের স্পিনের পাশাপাশি পেসার সিরাজ এবং উমেশ যাদব নতুন বল দিয়ে কিউইদের ওপর চাপ বজায় রাখেন। কিউই ব্যাটসম্যানদের ভুল করতে বাধ্য করে অশ্বিনের স্পিন আক্রমণ সঠিক সময়ে আসে, যার ফলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার একে একে ভেঙে পড়ে।

অশ্বিনের অভিজ্ঞতার প্রভাব

রবিচন্দ্রন অশ্বিন তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের বারবার বিপদে ফেলেন। তার ফ্লাইট, টার্ন এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেলিভারির কারণে ব্যাটসম্যানরা স্বস্তিতে থাকতে পারেনি। প্রতিটি ওভারে অশ্বিন ব্যাটসম্যানদের ভুল করার সুযোগ তৈরি করছিলেন, এবং তার কৌশলী বোলিংয়ের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে কিউইদের উইকেট তুলে নিচ্ছিলেন।

পুনেতে দ্বিতীয় টেস্ট: প্রথম দিনের শেষে পরিস্থিতি

প্রথম দিনের শেষে নিউজিল্যান্ড ২৫০ রানের মধ্যে অলআউট হয়, যা তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের জন্য একেবারেই হতাশাজনক। অশ্বিনের ৪ উইকেট, জাদেজার ৩ এবং সিরাজের ২ উইকেটের মাধ্যমে ভারত পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এছাড়াও, পড়ুন : গ্লোবাল MEMS অ্যাক্সিলারেশন সেন্সর বাজারের আকার 2023 সালে USD 1.10 বিলিয়ন ছিল, এই প্রতিবেদনটি বাজারের বৃদ্ধি, প্রবণতা, সুযোগ এবং 2024-2030 পূর্বাভাস কভার করে

নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের অসহায়তা

পুনের পিচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা স্পিনারদের বিরুদ্ধে বারবার সংগ্রাম করেছে। অশ্বিন এবং জাদেজার ধারাবাহিক আক্রমণের বিপরীতে তারা কার্যত প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হয়। টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়াং দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর মিডল অর্ডারকে দায়িত্ব নিতে হয়, তবে তারাও অশ্বিনের স্পিনের সামনে টিকে থাকতে পারেনি। বিশেষ করে, অশ্বিনের বোলিংয়ের ভ্যারিয়েশন তাদের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

ভারতের সামনে সুযোগ

প্রথম দিনেই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ার কারণে ভারতের সামনে এখন বড় লিড নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিউই বোলারদের মুখোমুখি হতে হবে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের, যেখানে রোহিত শর্মা, শুভমান গিল, এবং বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যানরা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে প্রস্তুত। ভারতের জন্য এই ম্যাচে জয়লাভ করলে সিরিজের দিকটি আরও নিশ্চিত হয়ে যাবে।

সারসংক্ষেপ রবিচন্দ্রন অশ্বিন পুনেতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে তার স্পিনের জাদুতে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন। প্রথম দিনে ভারতের বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের ফলে নিউজিল্যান্ড মাত্র ২৫০ রানেই অলআউট হয়ে যায়।