তেলের দাম সাপ্তাহিক পতনের দিকে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ কমার সাথে সাথে, ওপেক+ বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছে।

top news

### তেলের দাম সাপ্তাহিক পতনের দিকে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ কমার সাথে সাথে, ওপেক+ বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছে।

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে কিছু নতুন অনুপ্রেরণা এসেছে যা তেলের বাজারে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। ইসরায়েল এবং হেজবোল্লার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা হওয়ার ফলে আমাদের কাছে যেসব উদ্বেগ ছিল, তা কিছুটা কমেছে। ফলে আন্তর্জাতিক তেলের দাম গত সপ্তাহে পতনের দিকে যেতে শুরু করেছে, যদিও শুক্রবার তেল ফিউচার কিছুটা bounced করেছে।

বৈশ্বিক তেলের বাজারে ওপেক+ দেশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওপেক+, যা বিশ্বের কিছু প্রধান তেল উৎপাদক দেশ নিয়ে গঠিত একটি সংস্থা, তাদের সাপ্তাহিক বৈঠক পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বৈঠক সাধারণত তেলের উৎপাদন সীমা, মূল্য নির্ধারণ এবং বাজার স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করার জন্য হয়। বৈঠকটি বিলম্বিত হওয়ার ফলে বাজারে কিছু অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তবে এটি নতুন কাজের সুযোগও তৈরি করতে পারে।

এখনও পর্যন্ত, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষের মাঝে তেলের দাম বাড়ার পূর্বাভাস ছিল, কিন্তু যুদ্ধবিরতির কারণে পরিস্থিতির কিছুটা পতন ঘটেছে। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের সময় তেলের দাম সাধারণত বৃদ্ধি পায়। তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি ভিন্ন। ওপেক+ বৈঠকের সময়সূচি পিছিয়ে যাওয়ার কারণে বাজারের অংশগ্রহণকারীরা কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছে।

বিশ্বের তেল উৎপাদন এবং চাহিদার দিক থেকে দেখা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য দেশও উৎপাদন বাড়াতে শুরু করেছে। এই প্রবণতা বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির নির্দেশ করে, যা তেলের দাম কমতে সহায়ক হচ্ছে। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেল তেল উৎপাদন সবসময়ই বাজারকে প্রভাবিত করে চলেছে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, তেলের দাম কমানোর জন্য সার্বিক অবস্থা যেমন আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজার, ভোক্তাদের চাহিদা এবং পরিবেশগত নীতিমালাও গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে, ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির ফলে কিছু দেশ যেমন সৌদি আরব এবং রাশিয়া তেলের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করতে চায়। অন্যদিকে, কিছু দেশ পরিবেশবান্ধব শক্তির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে, যা ভবিষ্যতে তেলের চাহিদা কমাতে পারে।

সার্বিকভাবে, মধ্যপ্রাচ্যে উদ্বেগ হ্রাস পাওয়ায় এবং ওপেক+ বৈঠকের পরিবেশনা পিছিয়ে দেওয়ার ফলে তেলের দাম সাপ্তাহিক পতনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাজারের নির্মাণ এবং অবস্থা কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা পর্যবেক্ষণের দাবি রাখে। চলতি সপ্তাহের এই ওঠা-পড়া তেলের বাজারের ভবিষ্যৎ অঙ্গীকারের দিকে নির্দেশ করছে।