পেটকোর নতুন সিইও চাইছেন যে কোম্পানির দোকানগুলিতে কিছু পরিবর্তন আনা হোক, যখন শেয়ার মূল্য বাড়ছে।

top news

**পেটকোর নতুন সিইও চাইছেন যে কোম্পানির দোকানগুলিতে কিছু পরিবর্তন আনা হোক, যখন শেয়ার মূল্য বাড়ছে**

পেটকো হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস কোম্পানি, আমাদের প্রিয় পোষ্যের আয়োজন এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, যা সম্প্রতি নতুন সিইও জোয়েল অ্যান্ডারসনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। তিনি এবছরের শুরুতে কোম্পানির দায়িত্ব গ্রহণের সময় যে উদ্দেশ্যগুলি প্রকাশ করেছিলেন, তার মধ্যে একটি হল সংস্থাটির লাভজনকতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা। সম্প্রতি তিনি দোকানগুলির পরিবর্তন আনতে এক বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা বাজারে কোম্পানির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

পেটকোর একক নজরের ইতিহাসে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটি ছোট্ট পেট সাপ্লাই স্টোর দিয়ে। সময়ের সাথে সাথে এটি বিকশিত হয়ে একটি বৃহৎ জাতীয় চেইনে পরিণত হয়। পোষ্যদের জন্য বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা সরবরাহ করে, পেটকো সারা দেশের পোষ্যপ্রেমীদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় নাম হয়ে উঠেছে। তবে, প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে বদলে যাচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা এবং আচার-আচরণ।

জোয়েল অ্যান্ডারসন পেটকোর সিইও হিসেবে বিভিন্ন পরিবর্তনের কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেছেন, যা দেশের ১,৫০০টিরও বেশি পেটকো স্টোরে বাস্তবায়িত হতে পারে। তার পরিকল্পনায় প্রধানত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়ন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বলছেন, ডিজিটাল অবস্থান এবং অনলাইন কেনাকাটার দিকে জোর দিয়ে দোকানের অভ্যন্তরীণ কাজের প্রক্রিয়া আরও উন্নত করা হবে।

অ্যান্ডারসন আরও জানান, পেটকোর দোকানগুলিকে আরও ব্যবহারকারীদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ করে তুলতে কিছু নকশা পরিবর্তন করবেন। এতে পণ্যের প্রদর্শন, ক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক স্থান, এবং ক্রয় প্রক্রিয়াকে সহজ এবং দ্রুত করা অন্তর্ভুক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন যে উন্নত গ্রাহক সেবা এবং অভিজ্ঞতা পেটকোর ব্যবসায়িক মডেলকে শক্তিশালী করবে এবং শেয়ার মূল্যের বৃদ্ধি ঘটাবে।

অপরদিকে, এ ধরণের পরিবর্তন প্রতিষ্ঠানটির অপারেশনাল দক্ষতাও বাড়াবে। আধুনিকীকরণের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের সময় এবং খরচ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যা কোম্পানির লাভজনকতাকে বাড়াতে সাহায্য করবে। পেটকো বর্তমানে একটি জনবান্ধব চেইন হিসেবে পরিচিত, তবে এটি নিজের প্রতি কিছু নতুনত্ব এবং আধুনিকতার প্রকাশ ঘটাতে চায়।

অবশেষে, পেটকোর এই নতুন উদ্যোগগুলো কেবল গ্রাহকদের যোগাযোগের স্তরই মজবুত করবে না বরং পোষ্য খাদ্যের চাহিদা ও বাজারের তালিকার পরিবর্তনেও সহায়তা করবে। নতুন সিইও জোয়েল অ্যান্ডারসনের নেতৃত্বে, পেটকো নিশ্চিতভাবে এক নতুন দিগন্তের দিকে এগোচ্ছে এবং আগামী দিনে পোষ্য প্রেমীদের জন্য আরও উন্নত সেবা ও পণ্যের প্রদান করবে।