বোমার হুমকিতে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ

বোমার হুমকিতে শিকাগোগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট কানাডায় অবতরণ

top news

শিকাগোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটটি একটি অনলাইন নিরাপত্তা হুমকির কারণে কানাডায় বাধ্যতামূলকভাবে অবতরণ করেছে বলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দিল্লি থেকে শিকাগোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা AI127 ফ্লাইটটি যাত্রার মাঝপথে একটি বোমার হুমকি পায়, যার ফলস্বরূপ বিমানটি কানাডার ইকালুয়িট বিমানবন্দরে নামানো হয়।

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, “১৫ অক্টোবর, ২০২৪-এ দিল্লি থেকে শিকাগো অভিমুখে যাত্রা করা AI127 ফ্লাইটটি অনলাইনে পোস্ট হওয়া একটি নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ফ্লাইটটি কানাডার ইকালুয়িট বিমানবন্দরে অবতরণ করে।”

ফ্লাইটটি সফলভাবে ইকালুয়িট বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে বিমান ও যাত্রীদের পুনরায় স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত সকল প্রোটোকল অনুসরণ করে এই পুনঃপরীক্ষা চলছে। যাত্রীদের পরবর্তী যাত্রা পুনরায় শুরু হওয়া পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া স্থানীয় সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় করে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করছে। বিমানবন্দরে বিশেষ এজেন্সি সক্রিয় করা হয়েছে যাতে যাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা যায়।

একটি সূত্র জানায়, এই হুমকির খবর অনলাইনে পাওয়া মাত্রই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেওয়া হয় এবং ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তাও এয়ারলাইন্সের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল।

বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ

ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে ছিল, তখন অনলাইনে একটি বোমার হুমকি আসে। এই হুমকির পরই এয়ার ইন্ডিয়া দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং কানাডার ইকালুয়িট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ নিশ্চিত করে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বিমানের সম্পূর্ণ স্ক্রিনিং চালু করা হয়।

বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, যাত্রীদের অবতরণের পর তাদের নিরাপত্তা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর সুরক্ষিত রাখার জন্য ফ্লাইটের প্রত্যেকটি যাত্রী এবং কর্মীকে নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিককালে বিমানবাহনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

এই ঘটনার আগে অন্যান্য বিমানের ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিককালে অনুরূপ হুমকির ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগেই মুম্বাই থেকে পরিচালিত একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটেও অনলাইনে বোমার হুমকি পাওয়া যায়, যা পরে তদন্তের আওতায় আনা হয়েছিল। বিমানের যাত্রীরা সুরক্ষার কারণে এই ধরনের হুমকির ফলে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।

এই ধরনের হুমকির ফলে সারা বিশ্বে বিমান চলাচলের নিরাপত্তা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠছে। বিভিন্ন দেশের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এই ধরনের হুমকির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করছে এবং যেকোনো সম্ভাব্য ঝুঁকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

কানাডার ইকালুয়িট বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রস্তুতি

ইকালুয়িট বিমানবন্দরটি কানাডার নুনাভুট প্রদেশে অবস্থিত এবং উত্তর মেরু অঞ্চল থেকে অত্যন্ত কাছে। তাপমাত্রা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বিমানবন্দরটি জরুরি অবতরণের ক্ষেত্রে সুপরিচিত। এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ সম্ভব হয়, বিশেষ করে বিমানগুলোর জন্য যখন নিরাপত্তাজনিত কারণে উড়োজাহাজের গতিপথ পরিবর্তন প্রয়োজন হয়।

এয়ার ইন্ডিয়া এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। যাত্রীদের পুনরায় স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া শেষ হলে তাদের যাত্রা পুনরায় শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এয়ারলাইন্সের প্রতিক্রিয়া

এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, “আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অনলাইনে পাওয়া হুমকির পরই ফ্লাইটের গতিপথ পরিবর্তন করা হয় এবং যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”

এয়ার ইন্ডিয়া এবং স্থানীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একযোগে কাজ করছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে তদন্তাধীন রয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এয়ার ইন্ডিয়া কঠোর নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করছে এবং যাত্রীদের যথাযথ সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

এছাড়াও, পড়ুন : 2023 সালে গ্লোবাল TLD ডসিমিটারের বাজারের আকার ছিল USD 656.00 মিলিয়ন, এই প্রতিবেদনটি বাজারের বৃদ্ধি, প্রবণতা, সুযোগ এবং পূর্বাভাস 2024-2030 কভার করে


পূর্ববর্তী ঘটনাবলী

সম্প্রতি মুম্বাই থেকে পরিচালিত একটি ইন্ডিগো ফ্লাইটেও অনুরূপ বোমার হুমকি পাওয়া যায়। তবে তা তদন্তের পর মিথ্যা হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন বিমান সংস্থার ফ্লাইটে এমন হুমকি পাওয়া যাচ্ছে, যা বিমান চলাচলের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বিমানবন্দরগুলোতে সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে এবং যেকোনো হুমকির সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয় রয়েছে।