আমার স্বামী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু দুটি টাকা পর্যন্ত মর্টগেজে অবদান রাখেননি। क्या वह আমাদের বাড়ির অর্ধেকের অধিকারী?

top news

**শিরোনাম: আমার স্বামী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু দুটি টাকা পর্যন্ত মর্টগেজে অবদান রাখেননি। তিনি কি আমাদের বাড়ির অর্ধেকের অধিকারী?**

পরিবার এবং বিবাহের মধ্যে যে সামাজিক চুক্তি রয়েছে, সেটি প্রায়শই জটিল ও চরম আবেগের মধ্যে চলছে। বিশেষত, যখন বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ আসে তখন সমস্যাগুলি আরও গভীর এবং জটিল হয়ে ওঠে। একটি প্রাথমিক প্রশ্ন যেটি বেড়ে ওঠে তাতে হল, বিবাহিত জীবনের সময় একজন স্বামী বা স্ত্রীর অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে।

আমাদের আলোচনার কেন্দ্রে এখন একটি উদাহরণ রয়েছে, যেখানে একজন স্ত্রীর স্বামী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু তিনি বাড়ির মর্টগেজে কোনও অর্থ সাহায্য করেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আসলে তিনি কি ঐ বাড়ির অর্ধেকের অধিকারী?

ব্যক্তিগত সম্পত্তির প্রতি অধিকার আইন অনুযায়ী নির্ভর করে বিচ্ছেদ আচরণ এবং স্থানীয় আইন। ভারত এবং বাংলাদেশের মতো অনেক দেশে এ প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিবাহিত যুগলদের মধ্যে যৌথ সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এমনকি যদি একজন ব্যক্তি নগদ অর্থের সঙ্গে কোন অবদান না রাখলেও সে সম্পত্তিতে তার অধিকার থাকতে পারে।

এক্ষেত্রে, যদি এক পক্ষের আয় বাড়ানোর জন্য এবং সংসারের খরচ মেটানোর জন্য অন্য পক্ষ বাধ্য হয়, তবে দ্বিতীয় পক্ষের রেসিপ্রোকাল অধিকার তৈরি হয়। অর্থাৎ, যদি পুরুষটি কাজে না গিয়ে স্ত্রীর উপার্জনের মাধ্যমে পরিবারকে সমর্থন করার চেষ্টা করেন, তখন তারও ভবিষ্যতের জন্য কিছু দাবি থাকা উচিত।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী, একজন স্ত্রীর অধিকার অখণ্ড সম্পত্তির উপর নির্ভরশীল নয়; বরং তাদের সংসার জীবন যাপন, সম্পর্কের অবস্থা, এবং আর্থিক অবস্থা অন্যতম বিষয়। যেমনটা বলছিলাম, স্বামী বা স্ত্রীর আর্থিক অবদান থেকে তাদের অধিকারও নির্ধারিত হয়।

অংশীদারি অধিকার এবং আইনগত নীতিমালা বোঝার জন্য আইনগত পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। একজন আইনজীবীর সাহায্য নেওয়াই হবে সবচেয়ে সঠিক উপায়, কারণ তারা স্থানীয় আইন অনুযায়ী সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারেন।

শেষত, এটি মনে রাখতে হবে যে আইন দ্বারা নির্ধারিত অধিকার এবং সঠিক পরামর্শ ছাড়া কোনও সিদ্ধান্তে আসা কখনও উচিৎ নয়। সংসারের কঠিন পরিস্থিতি মুখোমুখি হওয়ার সময় আইনগত সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত আবেগের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।