**শিরোনাম: ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের এক কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড একটি গভীর সমস্যার মুখোমুখি নিয়ে এসেছে, যা কেউ স্বীকার করতে চায় না।**
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়, বিশেষ করে স্বাস্থ্য বিমা খাতে একটি অন্ধকার প্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে যে বিষয়টি সচরাচর আলোচনা হয় না। সম্প্রতি ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের এক কর্মকর্তার রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড এই বিষয়কে আবার আলোচনায় আনছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন স্বাস্থ্য বিমা যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে, যারা শুধু মুনাফার চিন্তায় থাকে?
প্রথমত, আমাদের ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। ১৯৪০-৫০-এর দশকে স্বাস্থ্য বিমা বাজারে আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা সরবরাহ করতে শুরু করে। তখন বিমার জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে। তবে, এই সময় থেকেই স্বাস্থ্য বিমার খরচ বাড়তে শুরু করে এবং এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়।
বেসরকারি স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলো সরকারের উপর নির্ভরশীল সেবা প্রদান থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে, লাভের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতে শুরু Ker তাদের ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে। এর পেছনের কারণ হচ্ছে, বিনিয়োগ এবং মুনাফার দিকে মনোযোগ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য বিমার গঠন এমনভাবে হয়েছে যে এটি মূলত একটি বাজার ভিত্তিক ব্যবস্থা, যেখানে রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা পাওয়াটা সম্পূর্ণরূপে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, স্বাস্থ্য বিমা সংস্থাগুলোর হাতে immense ক্ষমতা থাকা আমাদের সমাজে আরো একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। যখন রাজনৈতিক নেতারা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারের চেষ্টা করেন, তখন বহুজাতিক স্বাস্থ্য বিমা কোম্পানিগুলোর লবিং শক্তি এবং তাদের অর্থনৈতিক উৎসাহ একে অন্যকে প্রভাবিত করে। এতে করে, অনেক সময় জনগণের স্বাস্থ্যের সেবা খুবই দ্বিতীয় স্থান পায়।
ইউনাইটেড হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ড এ বিষয়ে একটি সতর্ক সংকেত। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে associated গোপনীয়তা, এবং এর পেছনে যে বাণিজ্যিক স্বার্থ কাজ করে, আসলে তা যতটা নিহিত তা আমাদের সচেতনতার প্রয়োজন। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে এবং স্বাস্থ্য সেবার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সোচ্চার হতে হবে।
অবশেষে, স্বাস্থ্য বিমা খাতের ব্যক্তিগতকরণ একটি বৃহত্তর সামাজিক সমস্যা। বেসরকারি কোম্পানির মুনাফা আসলে জনগণের স্বাস্থ্য সেবাকে সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এই বাস্তবতার পরিবর্তনে আমাদের সচেতন এবং সক্রিয় হতে হবে। স্বাস্থ্য বিমাকে জনগণের জন্য একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হলে সমাজে পরিবর্তন আনতে হবে। গোপনে ঘটে যাওয়া অনেক কিছু আমাদের সামনে আসা উচিত, তা নির্ভর করে আমাদের সংগ্রামের ওপর।