**ডিজনি তাদের বার্ষিক লভ্যাংশ ৩৩% বাড়িয়েছে ‘অত্যন্ত সফল বছর’ এর পর**
ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানি সম্প্রতি তাদের বার্ষিক লভ্যাংশ ৩৩% বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানটি প্রতি শেয়ারে $1 লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা তাদের একটি অত্যন্ত সফল বছরের চিহ্ন। ডিজনির জন্য গত বছরটি ছিল নতুন রেকর্ড নির্ধারণের সময়, যেখানে প্রবাহিত ভিডিও পরিষেবা এবং ব্লকবাস্টার সিনেমার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য লাভ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিজনির ইতিহাস বেশ গভীর এবং সমৃদ্ধ। ১৯২৩ সালে ওয়াল্ট ডিজনি এবং তার ভাই রোয়াল্ট ডিজনি প্রতিষ্ঠা করেন ডিজনি স্টুডিও। তারা প্রথমে এনিমেটেড শর্ট ফিল্ম তৈরি শুরু করেন এবং ধীরে ধীরে বিশ্বজোড়া অ্যানিমেশন শিল্পে বিপ্লব ঘটান। ডিজনির ‘মিকি মাউস’ চরিত্রটি আজও শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে এক বিশেষ আবেদন রাখে।
গত কয়েক বছরে ডিজনি তাদের ব্যবসা মডেল পরিবর্তন করেছে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করে। ২০১৯ সালে ডিজনি প্লাস চালু করার পর থেকে তারা স্ট্রিমিং বিভাগে বিশাল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিষেবাটি বিশ্ব বাজারে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং লাখ লাখ সাবস্ক্রাইবার পেয়েছে। করোনা মহামারীর পর ডিজনি তাদের সিনেমার মুক্তির পদ্ধতি সংশোধন করে, অনেক সিনেমা একই সাথে থিয়েটারে এবং ডিজনি প্লাসে মুক্তি দেয়।
ডিজনির জন্য ২০২২ ছিল একটি টার্নিং পয়েন্ট। সংস্থাটি ‘শাং-চি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অফ দ্য টেন রিংস’, ‘মরবি’, এবং ‘ডেমনক্র্যাটস’ মত সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছে। এই ব্লকবাস্টার সিনেমাগুলি শুধু থিয়েটারেই নয় বরং ডিজনি প্লাসেও প্রচুর দর্শক টেনেছে। এই ধরনের সফলতাই ডিজনির লভ্যাংশ বৃদ্ধির প্রধান অনুপ্রেরণা বলে মনে হচ্ছে।
অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতার মাঝে ডিজনির এই লভ্যাংশ বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। এটি প্রমাণ করে যে ডিজনি শুধু বিনোদনের একটি কোম্পানি নয়, বরং এটি একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক মডেল গড়ে তুলেছে যা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লাভজনক হতে পারে। এছাড়াও, ডিজনি তাদের ‘মার্ভেল’ এবং ‘স্টার ওয়ার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রভাব সৃষ্টি করতে চলেছে।
সম্পূর্ণ যাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, ডিজনি তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রযুক্তির সফল সংমিশ্রণে ব্যবসায়িক জগতের অন্যতম আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিজনি যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তা নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে তাদেরকে আরও বড় বড় অর্জনের দিকে নিয়ে যাবে।