প্রতিদিন মস্তিষ্কের পরীক্ষা: শিশুর সংখ্যা গণনা চ্যালেঞ্জে উত্তাল ইন্টারনেট, কতজন শিশু?

top news

সম্প্রতি একটি অদ্ভুত মস্তিষ্ক পরীক্ষা এবং ধাঁধা সারা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। “কতজন শিশু?” প্রশ্নে মাত্র ১৫ সেকেন্ডে সঠিক উত্তর বের করতে ব্যবহারকারীরা তাদের মস্তিষ্ককে সম্পূর্ণ চাপিয়ে দিচ্ছেন। এই ধাঁধাটি প্রথমে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘থ্রেডস’-এ প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সাধারণ একটি সংখ্যা সম্পর্কিত সমস্যাকে কেন্দ্র করে তৈরি এই ধাঁধাটির জন্য ব্যবহারকারীদের বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার পরীক্ষা নেওয়া হয়।

চ্যালেঞ্জের ধরন এবং প্রশ্ন

সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টটিতে ব্যবহারকারীদেরকে কিছু গাণিতিক যুক্তি প্রয়োগ করে দ্রুততম সময়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে উৎসাহিত করা হয়েছে। মস্তিষ্ক পরীক্ষার এই ধাঁধাটিতে সরাসরি প্রশ্ন রাখা হয়েছে: “এখানে মোট কতজন শিশু আছে?” প্রশ্নটি আপাতদৃষ্টিতে খুব সাধারণ হলেও, এটি একটি চিন্তা-প্রচেষ্টা এবং দ্রুত বুদ্ধি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আসলেই অনেক কৌশলী।

পোস্টটি যে মুহূর্তে ‘থ্রেডস’-এ প্রকাশিত হয়, সেটি এক ধরণের চ্যালেঞ্জে পরিণত হয় এবং ব্যবহারকারীরা এটি সমাধানে উৎসাহী হয়ে পড়েন। পোস্টটির নীচে লক্ষাধিক মন্তব্যে ব্যবহারকারীরা তাদের নিজের নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। একাংশ দাবি করেন যে এই ধাঁধাটিতে শিশুদের সঠিক সংখ্যা সহজে বোঝা সম্ভব নয় কারণ এটি কিছু নির্দিষ্ট সূত্রের উপর ভিত্তি করে গাণিতিক মানসিক পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।

কতজন শিশু? ভিন্ন মতামতের ঝড়

‘কতজন শিশু?’ এই প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর শুধু গণিতের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, বরং এটি কিছু সুক্ষ্ণ চিন্তাভাবনার প্রয়োজনীয়তা বোঝায়। কিছু ব্যবহারকারীর দাবি, প্রশ্নের উত্তর অতি সাধারণ এবং সরাসরি সংখ্যা দিয়ে নির্ধারণ করা যায়। অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন যে এটি শুধু একটি সংখ্যা নয় বরং এতে কিছু সুক্ষ্ণ হিসাব রয়েছে।

এর ফলে পোস্টটিতে হাজার হাজার ভিউ, লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট জমা হয়। এমনকি অনেকেই এই ধাঁধার ভিডিও বিশ্লেষণ এবং উত্তর ব্যাখ্যা করে ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্লগেও পোস্ট করেছেন। জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং গণিত বিশেষজ্ঞরাও এই ধাঁধার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে দর্শকদের জন্য সঠিক উত্তর নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছেন। তবে এই প্রক্রিয়ায়ও একমত হওয়া যায়নি এবং ভিন্ন ভিন্ন উত্তরের মধ্য দিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক এখনো অব্যাহত।

থ্রেডস এবং সামাজিক গণমাধ্যমে প্রভাব

‘থ্রেডস’ প্ল্যাটফর্মটি সাম্প্রতিক সময়ে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ এবং ধাঁধার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত ভাইরাল বিষয়বস্তুর জন্য এক ধরনের ট্রেন্ডের উৎস হিসাবে ব্যবহারকারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও অনেক ধাঁধা শুধুমাত্র মজার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়, তবে এই বিশেষ প্রশ্নটি বেশিরভাগ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি জটিল মানসিক পরীক্ষা হিসাবে দেখা গেছে।

ধাঁধাটি নিয়ে আলোচনা করা একটি থ্রেডে, একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন: “এটি কোনো সাধারণ প্রশ্ন নয়। এটিতে প্রয়োজনীয় গাণিতিক এবং তাত্ত্বিক দক্ষতা রয়েছে, যা সহজেই বোঝা যায় না।” অন্য একজন ব্যবহারকারী উল্লেখ করেন, “শুধু সংখ্যা নয়, এটি আসলে একজনের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার পরিমাপ করে।”

অনেকে বলেছেন, সামাজিক মাধ্যমের এই ধাঁধা প্রক্রিয়া আসলে অনেক মানুষকে দ্রুত চিন্তা এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণে সক্ষম করে তুলেছে। মনোবিদ এবং শিক্ষাবিদরা উল্লেখ করেছেন যে এমন ধরনের চ্যালেঞ্জগুলি সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে মস্তিষ্কের প্রয়োগে সহায়তা করে এবং মানুষকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা প্রদান করে।

এছাড়াও, পড়ুন : অপটিক্যাল প্রক্সিমিটি সেন্সর বাজারের আকার 11.80% এর CAGR-এ বাড়ছে, এই প্রতিবেদনটি 2024-2030 টাইপ, বিভাজন, বৃদ্ধি এবং পূর্বাভাস দ্বারা বিশ্লেষণ কভার করে

জনপ্রিয়তা ও গণিতের গুরুত্ব

এই ধরনের ধাঁধা এবং মস্তিষ্ক পরীক্ষাগুলি প্রায়শই শিক্ষাবিদ এবং মনোবিজ্ঞানীদের দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়। কারণ এটি শুধুমাত্র একটি বিনোদনমূলক প্রচেষ্টা নয় বরং শিক্ষামূলকও বটে। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের মস্তিষ্ক পরীক্ষা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে এবং স্মৃতি ও বুদ্ধির কার্যক্ষমতা উন্নত করতে পারে।

এছাড়াও গণিত ও গাণিতিক চিন্তা শক্তি বাড়াতে সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন ধরনের চ্যালেঞ্জ খুবই কার্যকরী হতে পারে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই চ্যালেঞ্জ তাদের চিন্তাশক্তি এবং গাণিতিক দক্ষতার উন্নয়নে সহায়ক।

এই ধাঁধাটি ‘থ্রেডস’-এ হাজারো আলোচনার সূত্রপাত করেছে এবং মানুষকে গাণিতিক যুক্তির সঠিক প্রয়োগ শেখার জন্য উত্সাহিত করেছে। এটি শুধু একটি মজার প্রশ্ন নয়, বরং এটি মানুষের চিন্তাশক্তি এবং দ্রুততা পরিমাপের ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেছেন।

ভবিষ্যতে আরও চ্যালেঞ্জের প্রত্যাশা

যদিও এই বিশেষ প্রশ্নটির উত্তর নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক রয়েছে, তবে এটি স্পষ্ট যে সামাজিক মাধ্যমে এমন ধরনের চ্যালেঞ্জগুলির জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে।