**শিরোনাম: ফেডের ওয়ালার বলেছেন, তিনি আগামী বৈঠকে সুদের হার কমানোর সমর্থন করেন — আপাতত।**
সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার তার মতামত প্রকাশ করেছেন যে আগামী বৈঠকে সুদের হার কমানোর পক্ষে তিনি। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডের সিদ্ধান্তগুলি অর্থনীতির উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে, এবং এ কারণে ওয়ালারের বক্তব্যের প্রতি সকলের নজর পড়ে গেছে।
ফেডারেল রিজার্ভ একাধিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে প্রধান হল স্থিতিশীল মূল্যবৃদ্ধি এবং পূর্ণ কর্মসংস্থান। সুদের হার বাড়ানো বা কমানোর মাধ্যমে ফেড অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করে। সাধারণত, যখন অর্থনীতি দ্রুত বাড়তে শুরু করে এবং মূল্যবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়, তখন ফেড সুদের হার বাড়ায়। কিন্তু এখন ক্রিস্টোফার ওয়ালারের মতানুসারে, প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সুদের হার কমানোর সময় এসে গেছে।
গত কিছু মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চিত্র কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে। মহামারির পর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চললেও, মুদ্রাস্ফীতি এখনও একটি বড় সমস্যা। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত জনগণের জন্য খাদ্য ও অন্যন্য মৌলিক দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি তাদের জীবনযাত্রার মানকে সংকুচিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে, সুদের হার কমলে ঋণ গ্রহণের হারের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।
ওয়ালারের প্রথম দিকে তার সুদের হার কমানোর সমর্থন প্রকাশের মধ্যে একটি ধীরে ধীরে পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী বৈঠকে অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সেটি কার্যকরী হতে পারে। এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন অর্থনীতি একটি উত্তাল সময় পার করছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে ফেড পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নিতে চাইছে।
বিশ্বজুড়ে চলমান অর্থনৈতিক সংকট, বিশেষ করে ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং এর প্রভাব বিশ্ব বাজারে মুদ্রাস্ফীতির উপর পড়েছে। বেশি দাম এবং সরবরাহ সমস্যা ফেডের নীতিগুলোকে আরও জটিল করে তুলেছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই গুরুত্ববহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংক্ষেপে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি অর্থনীতি স্ট্যাবিলাইজেশন এবং ভোক্তাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করে সুদের হার কমানোর দিকে ইঙ্গিত করছে। এখন দেখার বিষয় হবে, এই পরিকল্পনা কার্যকরীভাবে বাস্তবায়িত হয় কিনা এবং এর ফলাফল কীভাবে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে। যদি ফেড এই পথ অবলম্বন করে, তবে তা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।