বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা দিতে মুদ্রানীতির কড়াকড়ি

মতামত

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিরোধ ও জীবনযাত্রার খরচ স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে তাদের মূল সুদের হার বাড়িয়ে ৮.৫০% করেছে। এই বছরের দ্বিতীয়বারের মতো এই সুদের হার বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য এক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গত বছর থেকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯% এর উপরে থাকায়, ডিসেম্বরের মধ্যে এটি ৮% এ নামানোর লক্ষ্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। এর সাথে সাথে, ব্যাংকটি একটি ক্রমবর্ধমান পেগ এক্সচেঞ্জ পদ্ধতি চালু করেছে, যেখানে টাকার মান ১১০ থেকে ১১৭ ডলারে নেমে এসেছে — এটি সাম্প্রতিক ইতিহাসে একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় অবমূল্যায়ন। এটি একটি সম্পূর্ণ বাজার-ভিত্তিক এক্সচেঞ্জ হারের দিকে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে।

এসব মুদ্রানীতির সামঞ্জস্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব ধরে রাখতে অপরিহার্য। টাকার গুরুত্বপূর্ণ অবমূল্যায়ন ও সুদের হার বৃদ্ধি কঠিন হলেও এগুলি আরও অর্থনৈতিক অবনতি থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। এছাড়াও, এই পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলীর সাথে মিল রেখে চলে, যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে $4.7 বিলিয়ন ডলারের জরুরী সাহায্য অর্জনে সহায়তা করে, যার সাথে আরও $1.15 বিলিয়ন বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধার অধীনে যোগ হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী প্রভাব: বিশ্ববাজারে ঢেউ তোলার ক্ষমতা।

বাংলাদেশের একটি বাজার-ভিত্তিক এক্সচেঞ্জ হারের দিকে পদক্ষেপ শুধু তার নিজের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্যই নয়, এটি বিশ্ব অর্থনৈতিক বাজারেও প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশটি অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করতে পারে, যা আঞ্চলিক বাণিজ্যিক গতিবিধি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের প্রবাহকে প্রভাবিত করতে পারে।